প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত পরামর্শ
বাংলাদেশ শিশুরা ৬(+)বছর বয়সে বিদ্যালয়ে যাবার পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। ঠিক এই পর্যায়ে উক্ত শিশুর জন্য প্রাথমিক শিক্ষার করণীয় হল অধিকতর ভবিষ্যত শিক্ষার দৃঢ় বুনিয়াদ গড়ে দেওয়া। এর জন্য প্রয়োজন দক্ষ শিক্ষক সমাজ। কিন্তু বাংলাদেশে বর্তমানে প্রচলিত চাকুরিকালীন সময়ে দেওয়া প্রশিক্ষণ একজন শিক্ষকের জন্য প্রয়োজনীয় প্রেরণা ও যোগ্যতা বয়ে আনতে সক্ষম নয়। কেন্দ্রীয় ভাবে আয়োজিত বিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য প্রচলিত সাব-ক্লাস্টার প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ও চাহিদা ভিত্তিক এবং সুনির্দিষ্ট নয়।
বিরাজমান পদ্ধতিতে একাডেমিক তত্ত্বাবধানের সুযোগও অপ্রতুল। বিদ্যালয়গুলিতে একাডেমিক তত্ত্বাবধান ও চাকুরীকালীন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণ এবং প্রয়োজনীয় ঘাটতি পুরণের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসুচির (পিইডিপি ১৯৯৭-২০০৩) অধীনে ইউআরসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আশা করা যায় ইউআরসি প্রাথমিক প্রাথমিক শিক্ষাঙ্গনের বর্তমান মান উন্নয়ন করতে সক্ষম হবে।
চাকুরীকালীন প্রশিক্ষণ দ্বারা প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক ও উপজেলার শিক্ষা সম্পর্কিত ব্যক্তিবর্গের দক্ষতা ও যোগ্যতা বিকাশের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ইউআরসি শ্রেণীকক্ষ ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা এবং শ্রেণী কক্ষে পাঠদান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। একই লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠান সাব-ক্লাস্টার প্রশিক্ষণ ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহে একাডেমিক তত্ত্বাবধান উন্নয়নের প্রচেষ্টা নেবে।
উপজেলা রিসোর্স সেন্টার প্রত্যেক উপজেলায় অবস্থিত একটি কারিগরি ও পেশাগত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।সংগঠন হিসেবে ইউআরসি একটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান।এই প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট জেলা অথবা পিটিআই-এর সাথে সংযুক্ত। পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট ইউআরসির কার্যতৎপরতা পরিচালনাকারী ইউআরসি ব্যবস্থাপনা কমি। ৫(পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটিতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সদস্য হিসেবে রয়েছেন। এই কমিটিতে ইনস্ট্রাক্টর সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রত্যেক ইউআরসির জন্য একটি করে উপজেলা রিসোর্স পুল রয়েছে। এতে অভিজ্ঞ বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক, গায়ক, শিল্পী, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, নাট্যকার এবং অন্যান্য উল্লেখযোগ্য স্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে সম্পৃক্ত করার বিধান রয়েছে। উপজেলা রিসোর্স পুল মাসে ন্যুনতম একবার সভা করেন এবং ইউআরসির পরিকল্পনা প্রণয়ন ও কর্মসুচি বাস্তবায়নে যখন যেভাবে প্রয়োজন সহায়তা দেন।
কেন ?
উদ্দেশ্যাবলীঃ
প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য পেশাগত সহায়তা পদ্ধতির উন্নতি সাধন করার লক্ষ্যে।
- শ্রেণী কক্ষে শিখানোর মান উন্নয়ন
- সাব ক্লাষ্টার প্রশিক্ষণ পদ্ধতির দক্ষতা বৃদ্ধি করণ
- মডেল বিদ্যালয়গুলির দক্ষতার বিকাশ সাধনে সহায়তা প্রদান
- শিখনের গঠনমুলক মান নিরূপন পদ্ধতির প্রচলন করা।
কি করতে হবে ।
সারা বছর ধরে প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কর্মতৎপরতা চালিয়ে যেতে হবে এই কর্মতৎপরতা কয়েকটি নমুনা নিম্নে দেওয়া হলঃ
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS